রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ, ১৪৩১
মো. সাইফউদ্দিন মিলন।।
শুনলাম কুড়িজন ভারতীয় সেনাকে নাকি চিনা সৈনিকেরা হত্যা করেছে।তিনবার শরীরে চিমটি কেটে তিনবার সংবাদটি পড়ছি বিশ্বাস হয়নি। বিশ্বাস করিই বা কি করে! ভারতীয় সৈনিকেরা তো মহা বীর মহাবিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী যোদ্ধা। তারা যেভাবে প্রতিদিন বাংলাদেশ সীমান্তে সিংহের মত গর্জে উঠে এবং নিজেদের বিশাল ভূখণ্ড দলখ মুক্ত করতে কৃষকের বুকে গুলি চালায় সত্যি তাদের সাহসিকতার প্রশংসা করতে হয়। ফেলানীর মত গৃহকর্মীকে ভয়ঙ্করভাবে হত্যা করে ভারতীয় বীর বাহিনী চায়নাদের নিশ্চয়ই একটি সতর্ক সংকেত দিয়েছিল, বোকা চাইনিজগুলো করোনা আতংকে সব ভুলে গেছে বোধহয়! নইলে কি আর এমন হতাহতের খবর পেতাম?
জানিনা অন্য সব বাংলাদেশিদের কাছে ভারত মানে কি? আমার কাছে ভারত মানে কলিজার অর্ধেকটা অংশ মাঝেমধ্যে কখনও বিশ্ব নিয়ে ভাবতে গেলে ভারতকে নিজের থেকে আলাদা করতে পারি না। আমার সমস্ত অনুভূতি এবং ভালোবাসাতে ভারতের একটা ভাগ রয়েছে। অথচ সেই ভারতের সীমান্ত নীতি সত্যি আমাকে মর্মহত করে। দুঃখজনক হলেও সত্য পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী দেশ হয়েও ভারত কেবল প্রতিবেশি ক্ষুদ্র দেশগুলোর উপরেই প্রভাব বিস্তার করতে পারে। অথচ ভারতের কাছে প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সুসম্পর্ক রেখে গোটা বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ ছিলো। ভারত বিশ্ব নিয়ে ভাবতে পরিপূর্ণভাবে ব্যর্থ। ভারতের ক্ষমতা শক্তি বিশাল সৈন্যবাহিনী কেবল বাংলাদেশ পাকিস্তান এবং নেপালেই সীমাবদ্ধ যার ফলস্বরূপ ভারতের উপর চিনাদের এই অগ্রাসান।
যাইহোক কুড়িজন ভারতীয় জোয়ান হত্যা সত্যি বেদনাদায়ক। নিহত সকলের পরিবার এবং ভারতীয় জনগণের প্রতি জানাই গভীর সমবেদনা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে আমি জানি ভিনদেশীদের হাতে নিজ দেশের নাগরিক হত্যার ব্যথা কত নির্মম হয়! ভারত সরকারের সুবোধ ফিরে আসুক প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠুক। বিশেষ করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতের কালো হাত উঠে যাক ভারত আমাদের অভিশাপ না হয়ে আশীর্বাদ হয়ে থাকুক।
লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, রূপালী বার্তা ডটকম।